কান্ট্রি লক, নেটওয়ার্ক লক, সিম লক কী ?
কান্ট্রি লক, সিম লক বা নেটওয়ার্ক লক একটি লকিং সিস্টেম যা একটি মোবাইল ফোনকে নির্দিষ্ট নেটওয়ার্ক বা নির্দিষ্ট দেশ ছাড়া অন্য কোথায় ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখে। কান্ট্রি লক করা ফোনগুলো সাধারণত নির্দিষ্ট একটি দেশের নেটওয়ার্কের বাইরে কাজ করেনা।
এই লক মূলত তিন ধরনেরঃ
পশ্চিমা দেশে নিত্য ব্যবহৃত হচ্ছে এই লকগুলি। যেকোন নামী কম্পানির ফোন কিনতে সেখানে প্রথমেই যেকোন একটি নেটওয়ার্ক অপারেটরের প্ল্যান সিলেক্ট করে নিতে হবে আপনাকে। এর মাধ্যমে ফোন কেনার সময় আপনি ফোন কম্পান এবং নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে একটি চুক্তিবদ্ধ হবেন সাধারণত এক থেকে তিন বছরের জন্য। এই সময়ের মধ্যে আপনি সেই ফোনসেটটিতে অন্য কোন নেটওয়ার্কের সিম চালাতে পারবেন না।
কান্ট্রি, নেটওয়ার্ক ও সিম লকের সুবিধাঃ
কান্ট্রি লক ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে মোবাইল চোরাচালানের বিরুদ্ধে অন্যতম ব্যবস্থা। এর ফলে এক দেশের জন্য লক করা ফোন অন্য দেশে চলে না। অন্য দেশে চালাতে হলে অর্থ খরচ করে কিনতে হবে আনলক কোড।
প্রতি বছর নতুন টেকনোলজির আবির্ভাবের সাথে বেড়েই চলেছে স্মার্টফোনের মূল্য। ২০০৭ সালে প্রথম আইফোনের দাম ছিল বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে লেটেস্ট আইফোন এক্স এস ম্যাক্সের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। এমন মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতার সুবিধা করে দেয় নেটওয়ার্ক লক। যে ফোনটির আনলকড মূল্য ১০০০ ডলার সেটি একটি সিম কোম্পানির মাধ্যমে কিনলে পাওয়া যায় ৭০০ থেলে ৮০০ ডলারে। এত বড় ডিসকাউন্টের বিনিময়ে ক্রেতাকে নিতে হয় সিম কোম্পানির সাথে ২-৩ বছরের চুক্তি। এই দুই তিন বছর সেই ফোনটিতে ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র সেই নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সিম।
এর ফলে সিম কোম্পানিগুলোও ২-৩ বছরে ক্রেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের লাভ তুলে নিতে সক্ষম হয়।
মোবাইল ফোনের চুরি ঠেকাতে সিম লক অত্যন্ত কার্যকর। এক্ষেত্রে প্রতিটি হ্যান্ডসেটের সাথে একটি নির্দিষ্ট নাম্বা্রের সিম রেজিস্টার করে দেওয়া হয়। সেই নির্দিষ্ট ফোনটিতে একমাত্র ঐ সিমটি ছাড়া অন্য কোন সিম চলবে না। এতে, কেউ ফোন চুরি করলেও তা ব্যবহার বা বিক্রি করতে পারবে না।
বাংলাদেশে সিমের সাথে মোবাইল সেটের রেজিস্ট্রেশন প্রকৃয়া শুরু হচ্ছে। এর ফলে নকল ফোন বিক্রি এবং ফোন চুরি অনেকাংশে কমে যাবে।
অসুবিধাঃ
কান্ট্রি লক সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকে দেশের বাইরে থেকে লকড ফোন কিনে দেশে এনে বিপদে পড়েন। আবার নেটওয়ার্ক লক করা ফোনে প্রাথমিকভাবে বড় ডিসকাউন্ট পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে ঝামেলায় পড়তে হয় অনেক সময়। সিম লকের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রয়োজনে নাম্বার বদলাতে হয়রানির শিকার হতে হয়।
লক খোলার পদ্ধতিঃ
লক করা ফোন অন্য দেশে নিলে না বা অন্য কোম্পানির সিম লাগালে সাধারণত
“Network Locked. Enter Unlock PIN.” ধরনের মেসেজ প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ সিম কম্পানির ওয়েবসাইটে অথবা ফোন কম্পানির ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পরিমান পেমেন্ট করে আনলক কোড পাওয়া যেতে পারে। এই কোডটি বসালে ফোন আনলক হয়ে যায়।
ফোন কম্পানির কাস্টমার কেয়ারেও সাধারণত এ সম্পর্কিত সমাধান দেওয়া হয়।
- কান্ট্রি লকঃ ফোনসেট নির্দিষ্ট দেশের বাইরে অন্য কোথাও কাজ করবে না।
- নেটওয়ার্ক লকঃ ফোনসেটটি একটি নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সিমেই শুধু কাজ করবে।
- সিম লকঃ ফোনসেটটি শুধুমাত্র একটি সিমেই কাজ করবে।
পশ্চিমা দেশে নিত্য ব্যবহৃত হচ্ছে এই লকগুলি। যেকোন নামী কম্পানির ফোন কিনতে সেখানে প্রথমেই যেকোন একটি নেটওয়ার্ক অপারেটরের প্ল্যান সিলেক্ট করে নিতে হবে আপনাকে। এর মাধ্যমে ফোন কেনার সময় আপনি ফোন কম্পান এবং নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে একটি চুক্তিবদ্ধ হবেন সাধারণত এক থেকে তিন বছরের জন্য। এই সময়ের মধ্যে আপনি সেই ফোনসেটটিতে অন্য কোন নেটওয়ার্কের সিম চালাতে পারবেন না।
কান্ট্রি, নেটওয়ার্ক ও সিম লকের সুবিধাঃ
কান্ট্রি লক ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে মোবাইল চোরাচালানের বিরুদ্ধে অন্যতম ব্যবস্থা। এর ফলে এক দেশের জন্য লক করা ফোন অন্য দেশে চলে না। অন্য দেশে চালাতে হলে অর্থ খরচ করে কিনতে হবে আনলক কোড।
প্রতি বছর নতুন টেকনোলজির আবির্ভাবের সাথে বেড়েই চলেছে স্মার্টফোনের মূল্য। ২০০৭ সালে প্রথম আইফোনের দাম ছিল বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা। ২০১৯ সালে লেটেস্ট আইফোন এক্স এস ম্যাক্সের দাম দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। এমন মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতার সুবিধা করে দেয় নেটওয়ার্ক লক। যে ফোনটির আনলকড মূল্য ১০০০ ডলার সেটি একটি সিম কোম্পানির মাধ্যমে কিনলে পাওয়া যায় ৭০০ থেলে ৮০০ ডলারে। এত বড় ডিসকাউন্টের বিনিময়ে ক্রেতাকে নিতে হয় সিম কোম্পানির সাথে ২-৩ বছরের চুক্তি। এই দুই তিন বছর সেই ফোনটিতে ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র সেই নির্দিষ্ট নেটওয়ার্কের সিম।
এর ফলে সিম কোম্পানিগুলোও ২-৩ বছরে ক্রেতার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের লাভ তুলে নিতে সক্ষম হয়।
মোবাইল ফোনের চুরি ঠেকাতে সিম লক অত্যন্ত কার্যকর। এক্ষেত্রে প্রতিটি হ্যান্ডসেটের সাথে একটি নির্দিষ্ট নাম্বা্রের সিম রেজিস্টার করে দেওয়া হয়। সেই নির্দিষ্ট ফোনটিতে একমাত্র ঐ সিমটি ছাড়া অন্য কোন সিম চলবে না। এতে, কেউ ফোন চুরি করলেও তা ব্যবহার বা বিক্রি করতে পারবে না।
বাংলাদেশে সিমের সাথে মোবাইল সেটের রেজিস্ট্রেশন প্রকৃয়া শুরু হচ্ছে। এর ফলে নকল ফোন বিক্রি এবং ফোন চুরি অনেকাংশে কমে যাবে।
অসুবিধাঃ
কান্ট্রি লক সম্পর্কে ধারণা না থাকায় অনেকে দেশের বাইরে থেকে লকড ফোন কিনে দেশে এনে বিপদে পড়েন। আবার নেটওয়ার্ক লক করা ফোনে প্রাথমিকভাবে বড় ডিসকাউন্ট পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে ঝামেলায় পড়তে হয় অনেক সময়। সিম লকের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন প্রয়োজনে নাম্বার বদলাতে হয়রানির শিকার হতে হয়।
লক খোলার পদ্ধতিঃ
লক করা ফোন অন্য দেশে নিলে না বা অন্য কোম্পানির সিম লাগালে সাধারণত
“Network Locked. Enter Unlock PIN.” ধরনের মেসেজ প্রদর্শন করে। এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ সিম কম্পানির ওয়েবসাইটে অথবা ফোন কম্পানির ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পরিমান পেমেন্ট করে আনলক কোড পাওয়া যেতে পারে। এই কোডটি বসালে ফোন আনলক হয়ে যায়।
ফোন কম্পানির কাস্টমার কেয়ারেও সাধারণত এ সম্পর্কিত সমাধান দেওয়া হয়।